গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেছেন, পত্রিকার সার্কুলেশন নিয়ে বড় ধরনের দুর্নীতি হয়েছে। চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি) অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত পত্রিকাগুলোর তথ্য অনুসারে প্রতিদিন ঢাকা শহরে ১ কোটি ৫১ লাখ কপি পত্রিকা বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে এই সংখ্যা ১০ লাখেরও কম। অর্থাৎ ১ কোটি ৪১ লাখ কপির বিক্রির তথ্য সম্পূর্ণ ভুয়া ও জালিয়াতি।
সরকারি হিসেবে ৬০০টি পত্রিকা মিডিয়াভুক্ত হয়ে সরকারি বিজ্ঞাপন পাচ্ছে। তবে দুটি হকার সমিতির তথ্য অনুযায়ী, নিয়মিত বিক্রি হয় মাত্র ৫২টি পত্রিকা। যে পত্রিকা প্রকাশিতই হয় না, তা কি কেউ কিনতে পারে? এসব পত্রিকা শুধুমাত্র সরকারি বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়, যা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অনিয়ম ও দুর্নীতি।
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন কামাল আহমেদ।
সার্কুলেশন জালিয়াতি রোধে কোনো সুপারিশ করা হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পত্রিকার সার্কুলেশন যাচাইয়ে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া পত্রিকা বিক্রির বিল ও রসিদ যাচাইয়েরও সুপারিশ করা হয়েছে।