সদ্য সমাপ্ত 'বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট'-এ প্রায় ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার প্রাথমিক বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। সম্মেলনে ৫০টি দেশ থেকে ৪১৫ জন বিদেশি প্রতিনিধি অংশ নেন, যা মোট অংশগ্রহণকারীর ৫৮ শতাংশ।
বিনিয়োগ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় ৭ এপ্রিল থেকে চার দিনব্যাপী, রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে। আয়োজনে সরকারের ব্যয় হয় প্রায় ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং সম্মেলন পার্টনারদের ব্যয় প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, মোট খরচ প্রায় ৫ কোটি টাকা।
চৌধুরী আশিক মাহমুদ জানান, বিনিয়োগ প্রস্তাবগুলো শুধুমাত্র সামিটের ফল নয়, অনেক আলোচনা পূর্ব থেকেই চলমান ছিল। সামিটের উদ্দেশ্য ছিল বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরা।
এছাড়া ৬টি কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (MoU) সই হয়েছে এবং বেজা ও বিডার যৌথ বৈঠকে ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি সরকারি ও পাঁচটি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে।
সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক (কক্সবাজার)
সুন্দরবন ট্যুরিজম পার্ক (বাগেরহাট)
গজারিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল (মুন্সীগঞ্জ)
শ্রীপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল (গাজীপুর)
ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল
বিজিএমইএ গার্মেন্টস শিল্প পার্ক (মুন্সীগঞ্জ)
ছাতক ইকোনমিক জোন (সুনামগঞ্জ)
ফমকম ইকোনমিক জোন (বাগেরহাট)
সিটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন (ঢাকা)
সোনারগাঁও অর্থনৈতিক অঞ্চল (নারায়ণগঞ্জ)
বিডার চেয়ারম্যান জানান, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ দেখে আশাবাদী হয়েছেন, যা ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক বার্তা বহন করে।
চেয়ারম্যানঃ এম এস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ মোঃ এম রহমান, ঠিকানাঃ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত