ইবাদত কবুলের জন্য ব্যক্তি যা খায়, পরে ও উপার্জন করে, তা হালাল হওয়া অপরিহার্য। রাসুল (সা.) বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পবিত্র এবং তিনি শুধু পবিত্র জিনিসই গ্রহণ করেন।” (মুসলিম: ২৭৬০)।
তিনি এক ব্যক্তির উদাহরণ দিয়ে বলেন, সে দীর্ঘ সফরে ক্লান্ত-শ্রান্ত অবস্থায় আকাশের দিকে হাত তুলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে, অথচ তার খাদ্য, পানীয় ও পোশাক সবই হারাম, এবং সে হারাম দিয়ে পুষ্টি লাভ করে—তাহলে তার দোয়া কীভাবে কবুল হবে?
রাসুল (সা.) বলেন, “তোমরা সত্যের অনুসরণ কর, কারণ সত্য ভালো কাজের দিকে ডাকে, আর ভালো কাজ জান্নাতে পৌঁছে দেয়।” তিনি আরও বলেন, “যে মিথ্যা বলে এবং মিথ্যার অনুসন্ধানে থাকে, সে এক সময় আল্লাহর কাছে চরম মিথ্যুক হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়ে যায়।” (মুসলিম: ২৬০৭)।
সুদ গ্রহণ বা প্রদান কোনো অবস্থায়ই গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহ বলেন, “যদি তোমরা সুদ ত্যাগ না করো, তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা শোন।” (সুরা বাকারা: ২৭৮-২৭৯)। সুদের লেনদেন সমাজে আর্থিক অসাম্য সৃষ্টি করে, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
ঘুষ লেনদেনকারী ব্যক্তি হারামের মাধ্যমে উপার্জন করে। এতে বিচার ব্যবস্থায় দুর্নীতি সৃষ্টি হয় এবং হকদার বঞ্চিত হয়। আল্লাহ বলেন, “তোমরা অন্যায়ভাবে পরস্পরের সম্পদ ভক্ষণ কোরো না এবং তা বিচারকের কাছে পেশ করো না।” (সুরা বাকারা: ১৮৮)।
রাসুল (সা.) ঘুষদাতা ও গ্রহণকারী উভয়ের প্রতি লানত করেছেন। (তিরমিজি: ১৩৩৬, ইবনে মাজাহ: ২৩১৩)।
ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত হলো হালাল উপার্জন। তাই মিথ্যা, প্রতারণা, সুদ ও ঘুষ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকাই একজন মুমিনের জন্য অপরিহার্য।
চেয়ারম্যানঃ এম এস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ মোঃ এম রহমান, ঠিকানাঃ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত